ডায়রিয়ার প্রকোপ বাঁকুড়া শহরের দুটি এলাকায় , আক্রান্ত শতাধিক

16th May 2020 বাঁকুড়া
ডায়রিয়ার প্রকোপ বাঁকুড়া শহরের দুটি এলাকায় , আক্রান্ত শতাধিক


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : কোরানা আবহের মধ্যেই বাঁকুড়া শহরে  ডাইরিয়ার প্রকোপ। বাঁকুড়া শহরের মনোহরতলা ও রামপুর এলাকায় ডাইরিয়া তে আক্রান্ত ২০০ বেশি মানুষ। এলাকায় পৌঁছেছে স্বাস্থ্য দফতরের টিম।  স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে চলছে চিকিৎসা। কিছু আক্রান্ত কে পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে  প্রসাদ হিসেবে ছোলা, মুড়ি ও শসা বিতরণ করা হয়। এলাকার মানুষের কথায় সেই প্রসাদ খাওয়ার পর থেকেই গতকাল বিকেল থেকে এলাকার মানুষ জনের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। পেট ব্যাথা, বমি, জ্বর ও পায়খানা এই উপসর্গ গুলিতে আক্রান্ত হতে থাকে একের পর এক বাসিন্দা।  গত কাল রাত থেকেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ বেশি মানুষ আক্রান্ত।  আজ সকালেই এলাকায় পৌঁছায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম । ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন।   প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।  প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।